শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদীতে পতিত জমিতে সূর্যমুখীর ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সূর্যমুখী চাষও হয়েছে ২০ হেক্টর বেশি জমিতে। আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর, চরনাজিরপুর, চরকমিশনার এলাকার কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। কয়েকটি স্থানে ব্লক ও প্রদর্শনী করে এই ফসলের তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এ বছর উচ্চফলনশীল আরডিএস হাইব্রিড-এস ২৭৫, হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৭০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন। অনেক পতিত জমিতে কৃষি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের চরনাজিরপুর গ্রামের খোকন হাওলাদার বলেন, ‘স্কুল পড়ুয়া ছেলে মিঠুকে নিয়ে ৩০ শতাংশ পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। চাষের প্রথম দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশ কিছু বীজ নষ্ট হয়ে যায়। পরে কৃষি কার্যালয়ের সহযোগিতায় প্রদর্শনী করে ১৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। কৃষি কার্যালয় থেকে সার, বীজ ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ভালো ফলন হয়েছে।’
সূর্যমুখী খেত ঘুরে দেখে আশা সুমাইয়া, তাসনিম, সিলমুন, সিরাত, সামিত, সুমি, বাবলি ও ফারিহা জানান, সূর্যমুখী হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাই পরিবারের কয়েক জন মিলে একটু দেখতে ও ছবি তুলতে আসলাম। এখানে এসে সূর্যমুখী খেত ঘুরে দেখতে ও ছবি তুলতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।